টলি অভিনেত্রী রচনার যুগান্তকারী আবিষ্কার! ঘরোয়া জিনিস দিয়ে নিজের হাতে তৈরি করলেন ক্রিম ও ফেসপ্যাক, মাখলে উপচে পড়বে গ্ল্যামার!

টলিউড (Tollywood) হোক বা টেলিভিশন- সব মাধ্যমেই রাজত্ব করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। একসময় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নম্বর ওয়ান হিরোইন ছিলেন তিনি। এখন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ। জি বাংলা জনিপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’র (Didi No 1) হাত ধরে বাংলার প্রত্যেক বাড়ির ড্রয়িং রুমের অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি। গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে
আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে টলিউডে ডেবিউ করেছিলেন রচনা। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। পেশাগতভাবে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা হোক বা ব্যবসায়ী- কেরিয়ারের প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সফল বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’। তবে এত কাজের চাপের মধ্যেও রচনা কিন্তু তাঁর যৌবন ঠিক ধরে রেখেছেন। ৪৮ বছর বয়স হলেও তাঁর গ্ল্যামারের কাছে হার মানে অনেক অষ্টাদশী।
অনেকেই জানতে চান, ‘দিদি নম্বর ১’ রূপচর্চার ক্ষেত্রে কী এমন ব্যবহার করেন যে তাঁর মুখে একটুও বয়সের ছাপ দেখা যায় না? এবার নিজেই সেই সিক্রেট ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি নিজের প্রসাধনী সামগ্রী লঞ্চ করেছেন রচনা। ব্র্যান্ডের (Beauty Brand) নাম রেখেছেন, ‘রচনা’জ কেয়ার’ (Rachana’s Care)।
বেশ কয়েক দিন ধরেই রচনার বিউটি প্রোডাক্ট আসার কথা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হয় ‘রচনা’জ কেয়ার’র। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মোট ৯টি সামগ্রী লঞ্চ করেছেন টলি সুন্দরী। এর মধ্যে রয়েছে সানস্ক্রিন, কেশর এবং শসা দিয়ে তৈরি নানান রকম জেল, নাইট ক্রিম এবং ব্যথার তেল।
এই মুহূর্তে ৯টি প্রোডাক্ট বাজারে আনলেও ভবিষ্যতে নিজের ব্যবসাকে আরও বাড়ানোর ইচ্ছা আছে রচনার। শুধু ত্বক নয়, চুল এবং প্রসাধনী সামগ্রীও লঞ্চ করতে চান টলি সুন্দরী। রচনা বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই নানান রকম ঘরোয়া উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করেছি। কাঁচা হলুদ, ওটস, দই, নিম, গোলাপের পাঁপড়ি- এসব দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতাম এবং সুফলও পেয়েছি’।
‘দিদি নম্বর ১’র কথায়, ‘আমরা এমন একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত যেখানে দিনের অনেকখানি সময় ক্যামেরার চড়া আলোর সামনে কাটাতে হয়। তার সঙ্গে মেক আপ তো আছেই। এসবের মাঝে ত্বক ভালো রাখা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। আমি চিরকাল ঘরোয়া টোটকায় আস্থা রেখেছি বলে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রত্যেকটি প্যাক আমি নিজের হাতে তৈরি করতাম। আমার সংস্থার প্রতিটি জিনিস একেবারে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরি। কৃত্রিমতার একটুও ছোঁয়া নেই। আমি এতদিন ধরে যা যা ব্যবহার করেছি, সেগুলি দিয়েই প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট তৈরি হয়েছে। যদি সবাই মনে করে আমি নিজের ত্বকের যত্ন নিতে পেরেছি, তাহলে এগুলিও একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন’।