প্রতি ঘন্টায় আয় 1000-2000 টাকা, মুড়ি মুরকির মতো বিক্রি হবে আপনার প্রোডাক্ট

আমাদের চারপাশে কতরকমের যে ব্যবসা চালানো হয় তার হিসেবে রাখা মুশকিল। এমন অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো আমরা চোখের সামনে হরদম দেখছি কিন্তু ব্যবসা করার কথা সাধারণত ভেবে দেখি না। আজ আমরা এমন একটি ব্যবসার কথা বলবো যার চাহিদা বাজারে সব সময় থাকে। খাটনি খুব বেশি নয়। অথচ লাভ খুব বেশি। এক ঘণ্টায় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। যত বেশি কাজ করতে পারবেন আয় হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।
কুরকুরে তো নিশ্চই খান। মশলা মাখানো ঝাল ঝাল পাঁপড়ের মতো। খেতে বেশ চটপটে, আর বানানো যায় চটপট। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে বলবো কুরকুরে ব্যবসার কথা। দরকার শুধু একটা বেশি। একটু জায়গা, কাঁচা মাল আর সঙ্গে দুই একজন থাকলে তো খুবই ভালো। খাবারের জিনিসের ডিমান্ড বাজারে কেমন থাকে সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর কুরকুরে এমন একটা জিনিস যেটা বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই পছন্দ করেন।
কুরকুরে তৈরি কাঁচামাল মাত্র দুটি – চালের গুঁড়ো এবং গুঁড়ো করা ভুট্টার দানা। বাসে, ট্রেনে নিশ্চই দেখেছেন যে সাদা রঙের পাঁপড় বিক্রি হচ্ছে, মেশিনের সাহায্যে আপনি সেটাও বানাতে পারবেন। কীরকম দেখতে পাঁপড় বানাবেন সেটা আপনার ওপর নির্ভর করতে। মেশিন বিভিন্ন রকমের ছাঁচ ব্যবহার করা যায়। যেমন ছাঁচ ব্যবহার করবেন তেমন আকৃতির পাঁপড় তৈরি করতে পারবেন। মেশিন অটোমেটিক, তাই খাটনি কম। আপনাকে শুধু মেশিনের মধ্যে কাঁচামাল মানে চালের গুঁড়ো এবং গুঁড়ো করা ভুট্টার দিয়ে দিতে হবে।
মেশিনের সাহায্যে তেল ছাড়াই মুচমুচে পাঁপড় তৈরি করা যায়। তাপের সাহায্যে মেশিন পাঁপড় মুচমুচে করে তৈরি করে দেয়। এক ঘণ্টায় কম বেশি ২০ কেজি পাঁপড় তৈরি করতে পারবেন। বাজারে বিক্রি করতে পারবেন ৫০-৬০ টাকা কেজিতে। এভাবে ঘন্টায় ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। ১০০০ টাকার হিসেবে ১০ ঘণ্টা কাজ করলে দৈনিক ১০ হাজার টাকা আয় করা যাবে।