ইঁদুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হচ্ছেন? বাড়ি থেকে ইদুরকে চিরবিদায় করতে আজ থেকেই কাজে লাগান এই ঘরোয়া টোটকা

গ্রাম বাংলা হোক কিংবা শহর বা শহরতলী, কীটপতঙ্গের উপদ্রব মোটামুটি সবজায়গাতেই আছে। আর মাঝে মাঝে তাদের উপদ্রব এমন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছায় তাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। যত কীটপতঙ্গ গৃহস্থলীতে উপদ্রব করে বেড়ায় তাদের মধ্যে অন্যতম বিরক্তিকর প্রাণী হল ইঁদুর। ইঁদুর মূলত বাড়ির বইখাতা, জামাকাপড় ও মূল্যবান জিনিসপত্র কেটে দেয়। তাছাড়া গ্রামের দিকের বাড়ি গুলোতে তরকারি বা দানাশস্য ইত্যাদি খেয়ে নষ্ট করে প্রচুর সম্পত্তি হানি করে।
ইঁদুর যেমন মাটির ঘরে পাওয়া যায় তেমনি ঝা চকচকে পাকা বাড়িতেও বিরাজমান। ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বেশ কাজে আসলেও অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার আবার উল্টে মানব জীবনের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। এগুলি যেমন বাড়ির বড়দের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি বাড়ির শিশুদের স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে।বিভিন্ন রকমের কীটনাশক স্প্রে ব্যবহারের ফলে শিশুদের শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে।
ইঁদুরের উপদ্রব থেকে উদ্ধার পেতে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে যদি ঘরোয়া কোন টোটকা ব্যবহার করা যেত তাহলে তা যেমন শরীরের পক্ষে ভালো হতো তেমনি অকারণে জীব হত্যারও প্রয়োজন হতো না। আজকের প্রতিবেদনে তাই কয়েকটি অতি সাধারণ উপায় বলা হলো। যেগুলির প্রয়োগে ইঁদুরের উপদ্রব প্রশমিত করা যেতে পারে। এদের মধ্যে অন্যতম উপকরণ হলো লাল লংকার গুঁড়ো। ঘরের যে সমস্ত জায়গায় ইঁদুরের সব থেকে বেশি আনাগোনা সেখানে লাল লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। লঙ্কার ঝাঁঝ ইঁদুর একদম সহ্য করতে পারে না। এছাড়া বিভিন্ন পোকামাকড় যেমন আরশোলা, মাকড়সা থেকে পিঁপড়েও এই লঙ্কার ঝাঁঝ থেকে দূরে থাকবে।
লবঙ্গের ঝাঁঝালো গন্ধ ইঁদুর সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরের কোণে যদি সুতির কাপড়ের মুড়ে চার-পাঁচটি লবঙ্গ রেখে দেয়া হয় তাহলে ইঁদুরের উপদ্রব কমে যাবে। পিপারমেন্ট তেলে তুলো ডুবিয়ে সেই তুলো ঘরের কোণে রেখে দিলেও তা ইঁদুর তাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইঁদুর তাড়ানোর আর একটি উপযোগী উপকরণ হলো বেকিং পাউডার। ইদুর যে পথে যাতায়াত করে সেখানে বেকিং পাউডার ছড়িয়ে দিলে ঘরে আর ইঁদুর প্রবেশ করতে পারবে না। পরের দিন সকালে উঠে ঝাঁটা দিয়ে সেই বেকিং পাউডার ঝেড়ে ফেলে দিলেই ঘরও পরিস্কার হয়ে যাবে।